ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

New-Project-13-9.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

ঢাবি প্রতিনিধি

আজ ২৬ মার্চ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইবৃন্দ স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে একত্রিত হন এবং উপাচার্যের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাত্রা করেন।

গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক, বীরত্বের স্মারক। ১৯৭১ সালের এই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো বীর সন্তান তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যার ফলস্বরূপ আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের দায়িত্ব হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখা।

 

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এখান থেকেই স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল, এখান থেকেই মুক্তির শপথ নেওয়া হয়েছিল। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে। আমি আশাবাদী, স্বাধীনতার এই অঙ্গীকার আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, ন্যায়পরায়ণতা ও দায়িত্বশীলতার পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে জোহরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’য় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য , গতকাল ২৫ মার্চ মঙ্গলবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

Leave a Reply

scroll to top