বায়ুর গুণগতমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণরোধ বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস্)-এ বুধবার একটি অত্যাধুনিক গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন। যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় জাপানের এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড এই ল্যাবে একটি ‘গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ মেশিন’ উপহার দেয়।
কারস-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো.আখতার হোসেন খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির, এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. তাইচি ওয়াতানাবে এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর প্রতিনিধি মি. ইমরানুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বায়ুদূষণের মাত্রা বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, বায়ুর গুণগত মান বৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ রোধে অত্যাধুনিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রকল্প নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কারস্ এবং জাপানের দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এধরনের যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ দূষণ রোধসহ পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ মেশিন স্থাপনে সহযোগিতা করায় জাপানের দুই প্রতিষ্ঠানকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় কারস্ জাপানের এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর সঙ্গে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অল্টারনেট ওয়েট এন্ড ড্রাইং (এডব্লিউডি) সেচ পদ্ধতির অনুশীলনের মাধ্যমে কম পানি ব্যবহার করে ধানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পানি সম্পদ সংরক্ষণ, মিথেন গ্যাসের নির্গমন কমানোসহ কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই গবেষণা প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।