বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহম্মদ ইউনূসকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেছেন পূর্ব তিমুর প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।
রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধি দলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
জানা যায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পূর্ব তিমুরের ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে, ড. ইউনূসকে ম্যান্ডেলা-গান্ধী-চেগুয়েবারার মতো ব্যক্তিত্ব বলেছেন রামোস হোর্তা। প্রধান উপদেষ্টার সাথে একান্ত বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিং করেন তারা। বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে একটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিন রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে তিন বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করে পুর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোসকে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং রামোস হোর্তা। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্ক আরেও জোরদার এবং ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করার কথা জানান তারা।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস হোর্তা বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হবো এবং সেইসঙ্গে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।