ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উত্তেজনার ভরপুর এই বৈঠকের দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তেজনায় শেষ হওয়া ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠকের পর ইউরোপের নেতারা ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। এ ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণকে অবৈধ ও অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, কানাডা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
এ বিষয়ে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘প্রিয় জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা একা নন।’
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, ইউক্রেনের জনগণের চেয়ে কেউ বেশি শান্তি চায় না এবং জার্মানি ও ইউরোপ ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণকারী। ইউক্রেন স্বাধীনতা, মর্যাদা ও ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে। সবাইকে তাদের সহায়তা ও সম্মান জানাতে হবে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা উচিত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ইউক্রেনের জন্য অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য তারা কা করবে।
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনের পাশে থাকবে, কারণ এটি একটি গণতান্ত্রিক জাতির যুদ্ধ যা রুশ স্বৈরাচারী শাসন পরিচালিত হচ্ছে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লারস লোকে রাসমুসেন এই বৈঠককে ইউক্রেনের জন্য ‘আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন পরিস্থিতি কেবল রাশিয়ার লাভে আসে।
রাশিয়ান সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেদেভ ট্রাম্পের আচরণকে ‘একটি বর্বর তিরস্কার’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
জার্মান পার্লামেন্টের কনজারভেটিভ পার্টি-গ্রুপের ডেপুটি জোহান ওয়াডেফুল এক্সে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের দৃশ্যগুলো বেদনাদায়ক। কীভাবে আপনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রেসিডেন্টকে আঘাত করতে পারেন? মুক্ত ইউরোপ কখনো ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না!
হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান কটাক্ষ করে বলেছেন, শক্তিশালী মানুষ শান্তি আনে, আর দুর্বল নিয়ে আসে যুদ্ধ। আজ ট্রাম্প শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যদিও তা কিছু লোকের জন্য বোঝা কষ্টকর।