আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ, এবং এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ডাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবিতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এই মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন এর পর ভিসি বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় এবং ঢাবি শাখার নেতা কর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। এই জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের চলে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া, যেখানে ছাত্র সংসদের অনুপস্থিতিতে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের একক আধিপত্য তৈরি হয়। জুলাই পরবর্তী প্রেক্ষাপটে, ডাকসুর জন্য ছাত্র সমাজের দাবি জোরালো হয়, কিন্তু হতাশার বিষয় অভ্যুত্থানের ৭ মাস পার হলেও ডাকসুর দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যায় নি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, স্বৈরাচার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের মডেল গড়ে তোলা সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন, কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, গণতান্ত্রিক চর্চার সেই সুযোগ তৈরি করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে, অভ্যুত্থানের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবিও উল্লেখ করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।
২. এপ্রিলের ২য় সপ্তাহের মধ্যে ডাকসুর তফসিল ঘোষণা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে ভিসির দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীগণ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারও দেওয়া হয় স্মারকলিপিতে।