জাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

New-Project-8-12.jpg

জাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ভোর ৫:৫৭ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। পরে সকাল ৭:০০ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তার বক্তব্যে বলেন, “১৯৭১ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে ২০২৪ সালের পর যে বিভ্রান্তি লক্ষ্য করছি, তাতে ঐক্য বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যায়, বৈষম্য ও মাফিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্য ধরে রাখা জরুরি। যে কোনো মূল্যে ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। ন্যায়ভিত্তিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর শিক্ষক সমিতি, মহিলা ক্লাব, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, বিভিন্ন আবাসিক হল এবং বিভাগসমূহের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এর আগে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সূর্যোদয়ের সময় প্রশাসনিক ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ,বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাসমূহ ২৬ তারিখ রাতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। স্ব-স্ব হল প্রশাসনের উদ্যোগে আবাসিক হলগুলোতেও আলোকসজ্জা করা হয়।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাত সাড়ে দশটায় এক মিনিটের প্রতীকী “ব্ল্যাক-আউট” কর্মসূচি পালন করা হয় এবং কালোরাত্রি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

scroll to top