জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) পাহাড়ি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রধান উৎসব বিজু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই ও চাংক্রান উদযাপনের সময় (১২-১৬ এপ্রিল) পরীক্ষা ও শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন, জাবি কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোকে উৎসব চলাকালীন সময়ে ইন্ডিজেনাস শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ও ক্লাস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ৩ মার্চ ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে, যেখানে তারা উৎসবের সময় (প্রধান উৎসব বিজু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই ও চাংক্রান উদযাপনের সময়, ১২-১৬ এপ্রিল) পরীক্ষা ও শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানায়। প্রশাসন সেই দাবি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষাসমূহ পুনর্বিন্যাসের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের এ উদ্যোগ তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি ছাড়াও ২৪টি জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। সেই ২৪টি জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন’ ২০০৯ সালে “শিক্ষা, একতা, শান্তি ও প্রগতি” মটো নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চা ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এখনো কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।