জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইসলামী পাঠাগার ‘জাবিইপা’-এর উদ্যোগে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ইসলামী বইমেলা ২০২৫। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইসলামী পাঠাগার কর্তৃক আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এই “জাবিইপা বইমেলা ২০২৫”-এর উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে উপাচার্য এ মেলার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আমাদের জীবনের ইহজাগতিক ও পরজাগতিক অংশ রয়েছে। আমাদের পরজাগতিক জীবন কেমন হবে, সেখানে কী ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে—এসব বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে কি না, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের ব্যক্তিগত জীবনে এই প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই বইমেলা ইসলামী জীবনাদর্শে যারা বিশ্বাসী, তাদের জন্য ইতিবাচক আচরণগত পরিবর্তনে সহায়ক হবে।” এছাড়া, যারা এই আয়োজন করেছেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও উপাচার্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
“জাবিইপা বইমেলা ২০২৫” শিরোনামের এই মেলা চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় কুরআন, হাদিস, সিরাত, ইসলামী সাহিত্য, ইতিহাস, গবেষণা, আত্মউন্নয়ন ও শিশুসাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের শতাধিক বই প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছে। এতে অংশ নিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৮টি ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
জাবি ইসলামী পাঠাগারের পরিচালক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা মত ও সংস্কৃতির চর্চা থাকলেও ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির সুযোগ খুবই সীমিত। জাবিইপা সেই শূন্যতা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের বইমেলা সে প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।”
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আলেম, লেখক, প্রকাশক ও অ্যাক্টিভিস্টদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ হবে মুখরিত ও প্রাণবন্ত।
আয়োজক কমিটির এক সদস্য জানান, “বইমেলাকে ঘিরে আমরা এমন একটি পরিমণ্ডল তৈরি করতে চাই, যেখানে জ্ঞানের আদান-প্রদান, চিন্তার বিনিময় এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠবে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত অবধি দেশের স্বনামধন্য আলেম, লেখক, প্রকাশক ও অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত থাকবেন, যাঁদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার ও শোনার সুযোগ থাকবে সবার জন্য। আশা করি, এই মেলা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ইসলামী সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং তারা একে এক নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে উপভোগ করবেন।”