বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতিষ্ঠিত ‘আনন্দশালা: স্পেশাল নীডস এডুকেশন সেন্টার (এসএনইসি-জেইউ)’-এর আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ২০২৫ বিশ্বব্যাপী ১৮তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি চলমান থাকায় বিগত বছরের ন্যায় ২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে আনন্দশালার (আনন্দশালা: স্পেশাল নীডস এডুকেশন সেন্টার SNEC-JU নামে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুল) পক্ষ থেকে দিবসটি পালন করা সম্ভব হয়নি। তাই আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নেতৃত্বে আনন্দশালা প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আনন্দশালার পরিচালক (অনারারি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রুমানা রইছ।
এই বর্ণাঢ্য র্যালিতে নীল পোশাক পরিধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, আমাদের বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে যেমন পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার বিষয় রয়েছে, তেমনিভাবে মানুষের মধ্যেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তান ও সহযোদ্ধা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে এই উপলব্ধি তৈরি করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ওপর থেকে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।