সংস্কারের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।উপদেষ্টাদের কারও কারও ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে পদ ছেড়ে দেন, দল করে নির্বাচন করুন, আমরা মেনে নেব। নতুন দল করেন, তবে ক্ষমতায় থেকে তা করা যাবে না’।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই। তবে সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। এ দেশের মানুষ শান্তি ও সুশাসন চায়। যতটুকু ন্যূনতম সংস্কার দরকার, করুন। এরপর দ্রুত নির্বাচন দিন।’মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সমালোচনা করে বলেন, সব জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। সে কারণে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেলেও জিনিসপত্রের দাম কমছে না, মানুষ নিরাপত্তা পাচ্ছে না, পুলিশ কাজ করতে পারছে না।
‘ড. ইউনূস দেশের গৌরব, সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে সম্মান করে, তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, আমরাও তাকে সম্মান করি’-উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে তিনি দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমরা এখনও আশাবাদী। যত দ্রুত নির্বাচন হবে তত দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে, নিত্যপণ্যের দাম কমবে’।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা করতে গেলে এলাকায় এলাকায় আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিভেদ ঝগড়া করতে চাই না। কোনো কলাকৌশল করবেন না। এদেশের মানুষ আগে জাতীয় নির্বাচন চাই, তারপর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে’।