জাতিসংঘের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই বসে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

New-Project-100.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব) বিলুপ্ত, বিজিবিকে সীমান্তে রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এসবি ইমিগ্রেশনের বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল/ট্রানজিট ভিসা আবেদনে অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজীকরণ ও পাসপোর্ট আবেদনকারীদের জটিলতা/অভিযোগ ৯৯৯-এ জানানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, জাতিসংঘ র‌্যাব-বিলুপ্তির প্রস্তাব দিয়েছে। বিজিবিকে সীমান্ত রক্ষার মধ্যে থাকা, ডিজিএফআই-কে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও আনসারের ওপর থেকে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ না রাখার বিষয় প্রস্তাবনাও দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে তাদের এই প্রস্তাব আলোচনা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)  প্রতিবেদনে গত জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।

এতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল।

স্বৈরাচারী সরকার নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে যুক্ত করে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা সরকার ও তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওএইচসিএইচআরের অনুমান, বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ১ হাজার ৪শ’ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই মিলিটারি রাইফেল, প্রাণঘাতী মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানে নিহত হয়েছেন।

বিশেষ করে শুরুর দিকে বিক্ষোভের সম্মুখ সারিতে থাকা নারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে।  কয়েকটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক অভিযানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের সহিংস প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে অভিযান শুরুর আগেই সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল। এবং আ;লীগের কিছু নেতাদের বিক্ষোভের সময় অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

scroll to top