জাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবিতে বাগছাস-এর বিক্ষোভ

New-Project-4-18.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দ্রুততম সময়ে জুলাই হামলাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)এর নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে চারটায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে বটতলা বাজার অতিক্রম করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে যে প্রশাসন গঠিত হয়েছে, তার কাছে আমাদের বার বার বিভিন্ন দাবি নিয়ে আসতে হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, প্রশাসন বার বার জাকসু ও জুলাইয়ের বিচার নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। এছাড়া একদল মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী চাচ্ছে না এই নিয়মিত শিক্ষার্থীরা দ্বারা জাকসু গঠিত হোক, তারা ভালো করেই জানে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ক্ষমতায় গেলে তারা টেন্ডারবাজি করতে পারবে না, চাদাবাজি করতে পারবে না। তাই প্রশাসনকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা যদি শিক্ষার্থী বান্ধব না হোন, আপনাদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো হবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, প্রশাসনকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আপনারা একাধিকবার অছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পরে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ্য করিনি। এতে পরিষ্কার যে, আপনারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার পথেই হাঁটছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি—বিগত দিনে যেমন শিক্ষার্থীরা প্রতারিত হয়েছে, এবার আর আমরা প্রতারিত হতে চাই না। আগামীকাল যদি তফসিল ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

নাজমুল ইসলাম শান্ত বলেন, জাকসুকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের একটা চেষ্টা চালানো হচ্ছে, আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গণ অভ্যুত্থানের বিচার করেনি প্রশাসন, যখনি জাকসুর তফসিল ঘোষনার সময় আসে তখনি প্রশাসন একটা টালবাহানা শুরু করে দেয়। আগামীকাল জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করতেই হবে, যদি আগামীকাল তফসিল ঘোষনা না করে এবং কোনো রকম টালবাহানা করার চেষ্টা করেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরাও দেখে নিবে আপনারা কিভাবে ওই গদিতে বসে থাকেন।

৫১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান বলেন, প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে কোনো না কোনোভাবে জাকসু পেছানোর চেষ্টা করেছে, ক্যাম্পাসে জাকসু না থাকায় আপনারা দেখেছেন বিগত প্রশাসনগুলো কিভাবে স্বৈরাচার হয়েছিল উঠেছিল, তাই আমরা চাইনা এরকম স্বৈরাচার আবারো তৈরি হোক। এছাড়াও আমরা বলতে চাই জুলাই হামলার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হামলার বিচার আমরা দেখতে পাই নাই , হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এতে আমরা শংকিত হয়, আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত সময়ে হামলাকারীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করবে এবং আগামীকাল তফসিল ঘোষনার যে ডেডলাইন সেটা তারা বাস্তবায়িত করবে।

Leave a Reply

scroll to top