জবির ‘লং মার্চ ফর ফিলিস্তিন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

New-Project-24-1.jpg

জবির 'লং মার্চ ফর ফিলিস্তিন' কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ জবি প্রতিনিধি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এই কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রথম পর্যায়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে মিছিলটি আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। অতপর তাঁতীবাজার মোড়ে আবারও পুলিশি বাধায় লং মার্চ কর্মসূচি ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, এখন এসএসসি পরিক্ষা চলমান ও সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মুহুর্তে কোন অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ঠেকাতে মিছিলটি দূতাবাস পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয় নি।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশে এ পদযাত্রা শুরু করেন তাঁরা।

এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো করতে হবে’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়াও তাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “আমরা এখন স্মারকলিপি দিতে পারি নি। কিন্তু আমাদের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিয়ে আসবে। আর যদি গাজার ফিলিস্তিনদের উপর বর্বরতা বন্ধ না হয় তাহলে জাতিসংঘের অফিসে পরের সপ্তাহে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আমরা শিক্ষক সমিতি গাজার গণহত্যা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জবি শাখার সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা মুসলিম জাতি, খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি। কিন্তু আমরা তা ভুলে গেছি। আজ আমরা শুধু ফতোয়াবাজিতে ব্যস্ত, যার সুযোগে ইহুদি-খ্রিস্টানরা মুসলিম ভাই-বোনদের হত্যা করছে। আমি মুসলিম যুবকদের জাগরণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

এর আগে গত সোমবার দুপুর ১২টায় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তিন দফা হলো—গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো, মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং দেশে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা।

Leave a Reply

scroll to top