বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে অনেককিছুই করা সম্ভব। সেই অনেককিছু যদি সূচনা করতে হয় তাহলে আমাদেরকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজটি করতে হলে আমাদের আবার পিছনে যেতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে, ঠিক তেমনি দেশের মানুষকে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে হতে হবে। তাহলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার কাজটি শুরু করতে পারবো।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর বিভাগীয় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, পলায়নকৃত স্বৈরাচার সরকারের আমলে কোনোক্ষেত্রেই জবাবদিহি ছিল না। দেশে যদি জবাবদিহি থাকতো, তাহলে ফরিদপুর থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার হতো না।
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য খাতে এমন একটি পর্যায় সৃষ্টি করতে চাই যে, দেশের মানুষ দেশেই চিকিৎসা নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য শিক্ষা নিতে পারবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। একমাত্র জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা গেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হবে। এই জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ঘুরে আবার পেছনে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ঠিক একইভাবে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমাদের এ লক্ষ্য পূরণের প্রথম শর্তই হচ্ছে জনগণকে আস্থায় রাখা। বিএনপির প্রতি মানুষের যেই আস্থা আছে সেটি ধরে রাখতে হবে। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক আগামী দিনগুলোতে জনগণের আস্থা ধরে রাখা। এজন্য যা যা করা দরকার সবই করতে হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক এ বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এতে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।