জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবেক ও বর্তমান আমলারা। একইভাবে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ ও অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আনতে যাচ্ছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মত দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্।
সভায় বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেছেন, মুয়ীদ ভাই (সংস্কার কমিশন প্রধান) পারিবারিকভাবে কলঙ্কিত ব্যক্তি, বিতর্কিত কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন, উনি নিজের জন্ম পরিচয় বলে গেছেন। আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ ভাইয়ের অপসারণ চাই। এই সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণ না করলে, কীভাবে অপসারণ করতে হয় সেই টুলস আমাদের জানা আছে।
প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের আজ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪ জানুয়ারি মহাসমাবেশ ঘোষণার প্রস্তাব করছি। আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করব, কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করব, সংবাদ সম্মেলন করব।
বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে।
এদিকে, সংস্কার কমিশনের পুরো রিপোর্ট প্রকাশের আগেই নানা সিদ্ধান্ত সামনে আনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এর ফলে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সঙ্কট নিরসনে প্রশাসন ক্যাডারের কনিষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান সাবেক কর্মকর্তারা।