বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা যদি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিচার না করি জনগণ কোনো ভাবে আমাদের ক্ষমার করবেন না।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) আরব আমিরাতের দ্য ন্যাশনাল সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অপরাধের বিচার এড়ানোর সুযোগ নেই। তার যেসব কর্মকর্তা অপরাদের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ক্ষমা করেবে না।
তিনি বলেন, সরকার ভারতকে নোটিশ পাঠিয়েছে। শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য। মানবাধীকারবিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের প্রতিবেদনসহ আমাদের কাছে বহু তথ্যপ্রমাণ আছে। তারা যা কিছু করেছে, সেগুলোর সাক্ষ্য এটা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে এবং সরকার তাকে ফেরত আনতে আরো কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। না হলে দেশের মানুয় আমাদের ক্ষমা করবেন না।
সংস্কার কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, ১৫ টি সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আমরা তাদের সুপারিশ নিয়ে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বসবো। কোন সংস্কার আগে এবং কোন সংস্কার পরে করা যায় আর কোনটি একেবারে বাস্তবায়ন করতে চান না। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ যে মতামত দিবেন সেটাই আমরা গ্রহণ করবো। নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করছি। সেই লক্ষে কাজ করছে ১৫টি সংস্কার কমিশন। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করছে। কমিশন ও রাজনৈতিক দলের সুপরিশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে।
এরপর কিছু সংস্কারের জন্য সময় নেওয়া হরে সেটা তিন বছরও হতে পারে বলে তিনি জানান।
এর আগে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও পারস্পরিক আলোচনা সামিটে যোগদানের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা আমিরাতের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএই কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের জন্যও আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানের শিগগিরই একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পাঠানোরে ঘোষণা দেন আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী।