জীবন-যাপনে অপরিহার্য এক বস্তুর নাম টাকা। এই এক জিনিস ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ প্রায় অসম্ভব। প্রতিদিনের ব্যবহারে বিভিন্ন হাত ঘুরে, কোন দূর্ঘটনাবশথ অনেক সময় নোটটা ছিড়ে যায়। আর ছেঁড়া নোট অনেকটাই অচল। ছেঁড়া নোট পাল্টে নেওয়ার কথা অনেক সময়ই মাথায় আসে না। আসলে ছেঁড়া–ফাটা নোট বদলে নেওয়ার বিষয়ে সামান্য ধারণা না থাকার কারণে অনেককেই এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় ছেঁড়া বড় নোট বাজারে চলবে কি না, এই দুশ্চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন গ্রাহক। ব্যাগের এক কোনায় পড়েই থাকে অচল নোটটি।
তো কাকতালীয় বসত যদি আপনার হাতে এইরকম ছেঁড়া টাকা আসে আর আপনি সেটা ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে সেটা বদলাবেন কিভাবে? আপনি চাইলেই সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন। নিয়ম সেটাই বলে। শুধু ঢাকা নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কোনো না কোনো ব্যাংকের শাখা আছে। সবখানেই ছেঁড়া–ফাটা নোট গ্রহণ করা হয়। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ছেঁড়া–ফাটা নোট যদি বদলযোগ্য হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেও বদলে নেওয়া যায়। অবস্থাভেদে ১০০ ভাগ, ৭৫ ভাগ, ৫০ ভাগ রিফান্ড করা হয়। সাধারণত ৫১ শতাংশের কম ছেঁড়া থাকলে নোটের পুরো মূল্যমানই প্রদান করা হয়। তবে একটি নোটের অর্ধেকও কম অংশ থাকলে, তা আর রিফান্ড করা হয় না।
এ ছাড়া দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে বদল করে নেওয়া যায় ছেঁড়া–ফাটা নোট এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা মূলত কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে অল্প ছেঁড়া–ফাটা ও ময়লা নোটের বিপরীতে সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য (১০০ ভাগ) প্রদান করে থাকেন। গ্রাহকের উপস্থাপিত নোটটির সম্পূর্ণ নোটের তিন–চতুর্থাংশ বিদ্যমান থাকতে হবে এবং আসল নোট হিসেবে শনাক্ত হতে হবে। উপস্থাপিত নোট একাধিক খণ্ডিত হলে দুটি খণ্ডই একই নোটের অংশ হতে হবে। একই টাকা প্রমাণ বোঝাতে পেছনে সরু কাগজ দিয়ে জোড়া লাগানো যাবে।
ব্যাংকগুলোর নির্দেশনায় বলা আছে, তিন–চতুর্থাংশ ছেঁড়া ও ময়লা নোটের ক্ষেত্রে জমা মূল্য সঙ্গে সঙ্গেই প্রদান করা হবে। অধিক ছেঁড়া, অত্যধিক জীর্ণ, আগুনে পোড়া, ঝলসানো এবং তিন–চতুর্থাংশের কম রয়েছে—এমন নোটের বিনিময়মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রদান করা হবে। এই মূল্য সংগ্রহের জন্য এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের ডাক বা কুরিয়ার মাশুল নোট জমাদানকারী থেকে আদায় করা হবে