ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হলেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও চালু হয়নি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মালেক উকিল হলের ডাইনিং। ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। খাবার সংকটের পাশাপাশি তারা অভিযোগ তুলেছেন ডাইনিং পরিচালনার অব্যবস্থাপনা, অমানবিকতা ও জবাবদিহির অভাবের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালেক উকিল হলের ডাইনিংয়ের মান অত্যন্ত নিম্ন। খাবারের স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতি ছিল নিয়মিত অভিযোগ। তবে এবার ডাইনিং এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও নাজুক আকার ধারণ করেছে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “ডাইনিংয়ের দায়িত্বে যারা আছে তাদের পরিবর্তন করা উচিত। এক তো মানহীন খাবার, আবার সবসময় দেরিতে চালু করে। ডাইনিংয়ের পরিবেশও ঠিক না। এদের দ্রুত অপসারণ করা দরকার।”
আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শুধু মালেক হল নয়, পুরো ক্যাম্পাসেই একই অবস্থা। কোনো টঙ বা খাবারের দোকানও খোলা নেই। একদিকে খাবারের মান নেই, অন্যদিকে দোকানদারদের ইচ্ছামতো ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাসে ব্যবসা করে শিক্ষার্থীদের সেবা না দিলে, এমন ব্যবসা রেখে লাভ কী?”
তারা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যার সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাঝে মাঝে প্রো-ভিসি বা প্রভোস্ট হল পরিদর্শনে আসেন এবং ফেসবুকে কিছু পোস্ট দেন, তবে বাস্তব পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়।
একাধিক শিক্ষার্থীর মত, মালেক হলের ডাইনিংয়ে নতুন মালিকানা আনা জরুরি। তারা দাবি জানান, ডাইনিং পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় হতাশ শিক্ষার্থীরা দ্রুত ডাইনিং চালু, খাবারের মান উন্নয়ন এবং কার্যকর তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।