নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের গর্ভগৃহের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী চৈত্র সংক্রান্তী পূজা উপলক্ষে পরিষ্কারের জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহের তালা খুলে মেঝেতে ভাঙা কাঁচের টুকরাে দেখতে পায়।
জানা যায়, ১৪ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে মন্দির পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপন দাশ (ফিমস’১৭) ও প্রত্যয় মজুমদার (কেমিস্ট্রি-১৭) মন্দিরে প্রবেশ করে। মন্দিরের গর্ভগৃহের তালা খুলে মেঝেতে ভাঙা কাঁচের টুকরাে দেখতে পায়। তখন তারা লক্ষ্য করে গর্ভগৃহের পশ্চিম পার্শ্বের (ময়নাদ্বীপ যেদিকে) জানালার উপরের কাঁচের একটি বৃহৎ অংশ ভাঙা ও মেঝেতে একটি বড় ইটের টুকরো এবং সমস্ত গর্ভগৃহের মেঝে ভাঙা কাঁচের টুকরো দিয়ে ভর্তি। এর পরপরই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে (প্রক্টর স্যার) জানান। ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী প্রক্টর ও আনসারের প্লাটুন কমান্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় নোবিপ্রবির সনাতনী সম্প্রদায় এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। শিক্ষার্থীরা বলে,’এটা একটি পরিকল্পিত কাজ হতে পারে,যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’এছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানায় এবং ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনার আহ্বান জানান। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ তদন্ত আশা করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানায়।