চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর আড়াই মাস পরে জীবিত অবস্থায় হাজির কিশোর

New-Project-25-3.jpg

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর আড়াই মাস পরে জীবিত অবস্থায় হাজির কিশোর

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দাফনের আড়াই মাস পর ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসলেন তোফাজ্জেল হোসেন তুফান নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গত ১২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন তুফান। নিখোঁজের কয়েকদিন পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত একজনের মরদেহ তুফানের ভেবে নিয়ে এসে দাফন করে তার বাবা-মা।

কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় আড়াই মাস পর হুট করে তুফান ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসে। সকাল থেকে তুফানকে দেখতে এলাকার মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। তুফান উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের সাঈদ হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১২ জানুয়ারি তুফান বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পাওয়ার তার বাবা আলমডাঙ্গা থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। নিখোঁজের দুই দিন পর ১৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়, গাইবান্ধা রেল ষ্টেশনে একটি ছেলে ট্রেন দূর্ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছেলেটির ছবিও তুফানের মতই দেখতে। এ সংবাদ পেয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেনসহ পরিবারের লোকজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার ৪ দিন পর তুফানের মতো দেখতে ওই ছেলে মারা যায়। তুফানের বাবাসহ পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করে।

এ বিষয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেন জানান, তুফান বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে না পেয়ে থাকায় জিডি করি। দুইদিন পর জানতে পারি ফেসবুকে একটি ছেলের ছবি দিয়েছে। ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছবিটি দেখে তুফানের মতো মনে হয়। পরিবারের সকলকে নিয়ে আমরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর ওই ছেলেটি মারা যায়। আমরা আমাদের ছেলে তুফান মনে করে তার লাশ নিয়ে এসে দাফন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে তুফান বাড়িতে ফিরে এসেছে।

বাড়ি ফিরে আসা তুফান বলেন, বড় ভাইয়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকার শ্যামলীতে আলমডাঙ্গার কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়। তাদের সাথে রড মিস্ত্রীর কাজ করতে শুরু করি। রাগ করে এতদিন বাড়িতে যোগযোগও করিনি। দুই-তিন দিন পর ঈদ। সবাই বাড়িতে চলে আসছে। সেজন্য আমিও বাড়িতে আসছি। বাড়িতে আসার পর জানতে পারি এ ঘটনা।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দাফনকৃত তুফানের পরিচয় বের করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top