চট্টগ্রাম শহরস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তে ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে অনশকারীরা ৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙেছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত হলো- “চট্টগ্রাম শহরস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম চবির মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হবে। চারুকলার বর্তমান স্থাপনাসহ আর্টগ্যালারি, চারুকলা প্রদর্শনী ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাসের কাজে ব্যবহার করা হবে। ড্রয়িং ও প্রিন্টিং, ফিল্ম ম্যাকিং, সিরামিক্স এবং স্কাল্পচার এ চারটি নতুন বিভাগ নিয়ে চারুকলা অনুষদ চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত অবস্থা থেকে আড়ালে রাখার বিষয়ে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “কিছু অনিবার্য কারণে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে আনার কোন দিনক্ষণ ঠিক করা সম্ভব হয়নি। এটা সবাই অবগত যে জাতীয় সংসদ বা সিন্ডিকেট থেকে কোন সিদ্ধান্ত পাশ হলে সেটি অবশ্যই বাস্তবায়ন হয়।”
অনশনকারী চারুকলার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান সোহেল রাইজিংবিডিকে বলেন, “গতরাত ১১টার দিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হলে আমরা তাতে একমত পোষণ করি। তবে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফেরানোর কোন তারিখ ঠিক না করায় আমরা তখন অনশন ভাঙিনি। এ বিষয়ে আমাদের কয়েকজন স্যারদের সাথে আলোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, ‘অনিবার্য কিছু কারণে তারিখ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ এক্ষেত্রে চারুকলার পরিচালকবৃন্দ এবং কিছু শিক্ষকদের অসহযোগিতার কথা এসেছে। এরপর আমরা রাত দেড়টায় অনশন ভেঙেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত। তবে সে সিদ্ধান্তে যে তারিখ দিবে না সেটা ভাবিনি। তবে সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা ক্যাম্পাসে ফিরব এটা নিশ্চিত। তবে ক্যাম্পাসে ফেরা না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এর আগে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সাড়ে ৩ টায় চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ইনস্টিটিউটটির নয় শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাসরুল আল ফাহিম, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই শিক্ষাবর্ষের মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নূর ইকবাল সানি, ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম মাহী এবং একই শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান মিনহাজ।