চাঁদপুর শহরের ঢাকা কনফেকশনারিকে নানা অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের টিম। এটিই এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ জরিমানা এই প্রতিষ্ঠানটির।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে জরিমানার তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, জেলায় বেকারি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন বেকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা কনফেকশনারি। যার বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি হয়েছে। নানা সময়ে চড়াই উত্রাই পেরিয়ে ঢাকা কনফেকশনারি শহর জুড়ে ৬টি শাখা দাড় করিয়েছে। নানা সময়ে সতর্কতামূলক জরিমানা হলেও এবারই ৫০ হাজার টাকার মতো স্মরণকালের সর্বোচ্চ জরিমানা করা হলো ঢাকা কনফেকশনারিকে।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের হাজী মিশন রোডস্থ ঢাকা কনফেকশনারির মূল কারখানায়। যেখানে কেকসহ ২৫ রকমের খাবার উৎপাদিত হয়। তবে এসব খাবারে যে এতো অনিয়ম তা সবারই অজানা ছিলো।
চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন রূবেল জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সরজমিনে গিয়ে বাজার তদারকি অভিযানটি ঢাকা কনফেকশনারির কারখানায় পরিচালনা করেছি। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ রঙ ও জেলি ব্যবহার করে কেক তৈরি, পশমযুক্ত হাতের কবজি অবধি ঢুকিয়ে ড্রাই কেকের খামির তৈরি, অস্বাস্থ্যকর ফ্লোর, কর্মীদের হাতে গ্লাভস নাই, মাথায় ক্যাপ নাই, তৈরিকৃত কেক যে আলমারিতে রাখা হয়েছে তার সাথে পিঁপড়া মারার পাউডার ছিটানো এবং তা কেকের সাথে লেগে থাকাসহ নানা অভিযোগ সামনে আসে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা কনফেকশনারি নামক প্রতিষ্ঠানটিকে এই সব অপরাধের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদেরকে অভিযানের কাজে সহযোগিতায় ছিলো চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।
এদিকে অভিযানের পর পরই এতো বড় জরিমানার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হলে ঢাকা কনফেকশনারির প্রধান কার্যালয়ের ম্যানেজার সঞ্জয় অধিকারী বলেন, আমাদের কারখানায় ২০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছে। কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হওয়ায় জরিমানা করেছে তবে এই নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। তবে আমরা এখন যেই পরিস্থিতিতে রয়েছি তাতে কর্মচারীদের বেতনভাতা দিতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ফ্লোর চেন্জসহ যাবতীয় কাজ করা এখনি সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা থাকবে গ্রাহকদের আস্থা ধরে রেখে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখবো।