চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

New-Project-2025-02-21T160947.135.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-রাজশাহী রুটে মধ্যরাতে ডাকাতির শিকার হওয়া বাসটি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতদের দখলে ছিল। এ সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন বাসটিতে থাকা যাত্রীরা।

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার তিন দিন পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে বাসের যাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাসটি যেহেতু চলমান অবস্থায় ছিল, তাই এই ঘটনায় একাধিক স্থানের নাম উঠে আসছে। সেগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা।

নাটোর থেকে এসে ওই বাসের যাত্রী ওমর আলী মামলা করেছেন। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছাড়ার  পরেই আট থেকে দশজন ডাকাত চাকু, ছুরি ও পিস্তল নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। এ সময় তারা দুই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই বাসের যাত্রীরা। বাসের চালক ও তার সহযোগীরা ডাকাতদের সহায়তা করেছেন বলেন ভু্ক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে নাটোরের পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে বড়াইগ্রামের থানার মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, বাসের চালক রাজশাহীর বোয়ালিয়ার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সাধুর মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সুমন ইসলাম (৩৩) এবং সহকারী পূর্ব কাঁঠালিয়া এলাকার আঙুর মণ্ডলের ছেলে মাহবুব আলম (২৮)।

যাত্রীদের অভিযোগের বরাতে বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসটি সোমবার রাত ১০টায় গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। । বাসটি টাঙ্গাইল জেলায় আসলে নতুন যাত্রীসহ পূর্বের কয়েকজন মিলে আট থেকে দশ জনের একটি দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা যাত্রীদের মালামাল লুটপাটসহ দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে মীর্জাপুর এলাকায় নেমে যায়।’

ওসি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী বাসটি বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা বাসটি আটকে থানায় খবর দেয়।

Leave a Reply

scroll to top