অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হতে পারে বলে।
সম্প্রতি জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এনএইচকে) দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, তিনি নিশ্চিত করতে চান বাংলাদেশ তার নিজ পায়ে দাঁড়াবে এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া যারা আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হবে তারা কাজ করার জন্য শক্তিশালী ভিত্তি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, যখন আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম, আমার মনে হয় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, কারণ এটা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটা সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত ছিল।
জাপানি সংবাদমাধ্যমটিতে তরুণ প্রজন্মকে নিয়েও কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যারা গত বছর শেখ হাসিনার পতনে বড় ভূমিকা রাখেন। তিনি জানান, তার আকাঙ্খা বাংলাদেশের তরুণরা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা কী করতে চায়, তারা তাদের সৃজনশীলতার শক্তি প্রদর্শন ও পুরো বিশ্বের সঙ্গে এটি ভাগ করতে চায়। আমাদের মাথায় এই লক্ষ্যটি আছে, দেখা যাক আমরা কীভাবে আগাই।’ তিনি দেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে তার সরকার কাজ করেছে বলে জানান তিনি। সরকার বিভিন্ন সংস্কার মুখি কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময়ে তিনি উল্লেখ করেন। শিগগিরই একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ৫ আগস্ট এর পরে তিনি এই প্রথম জাপানী কোনো সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন।
উল্লেখ্য, সেই লক্ষে নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট বলেও এর আগে দেশি এবং বিদেশী গণমাধ্যমের সাক্ষাতের সময় তিনি উল্লেখ করেছেন। সেই লক্ষে জনআকাঙ্খা নিশ্চিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন এই বছরের শেষের দিককে সামনে রেখে নির্বাচন করা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই লক্ষে বিভিন্ন সংস্কার মুখি কাজ করছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
