গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
১৫ মার্চ বেলা ১১টায় জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার আরবান প্রাইমারি হেলথ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক।
এ ক্যাম্পেইনে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৫৭২ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৭টি স্থায়ী, ১ হাজার ৭০৯টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২১৬ জন তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বিশ্বাস, ইউপিএইচ সিএইচডিপি-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো রকিবুল হাসান, এমআইএস অফিসার কৃষ্ণ গোপাল সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এই নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। পরবর্তীকালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
এতে আরও বলা হয়, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না। পাশাপাশি ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে। আমাদের সব শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সের শিশুদের বিরাট অংশ এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগে এবং এর অভাবজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন।