গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

New-Project-2025-03-23T122328.620.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি বাড়ির থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানার গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন—মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও তাদের চার বছরের সন্তান নাদিয়া আক্তার। নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলাপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। তার কোনো চাকরি বা ব্যবসা  ছিল না। পেশাগত দিক দিয়ে তিনি ছিলেন বেকার। তিনি নেশা করতেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, গাজীপুর মহানগরীর গবিন্দবাড়ি এলাকায় শ্বশুড়ের বাড়িতেই স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নাজমুল ইসলাম বসবাস করতেন। অনেকদিন ধরেই নানা বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

গত শনিবার রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তারা নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। পরদিন ঘুম থেকে না ওঠায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পরিবারের লোকজন তাদের ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোনো সারাশব্দ না পেয়ে তারা ঘরের পেছন দিকের জানালা টেনে ফাঁকা করে দেখেন নাজমুলের মরদেহ ঝুলে আছে। পরে ঘরের দরাজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন খাদিজা ও নাদিয়ার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ যেমন নিজেকে ভালবাসতে পারেনা ঠিক তেমনি অন্যকে হত্যা করতে ও সে  ভাবনা  চিন্তা করে  কোন সময় নেয় না। নেশায় জড়িয়ে পড়া, যেটির পোশাকি নাম হচ্ছে ‘মাদকাসক্তি’, তা আসলে মস্তিষ্কের রোগ! মাদকাসক্তিকে বলা হয় ‘ক্রনিক রিলাপ্সিং ব্রেইন ডিজিজ’ বা বারবার হতে পারে এমন মস্তিষ্ক রোগ। প্রথম দিকে কেউ কেউ নিজের ভালোলাগার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলতে নেশা গ্রহণ করতে থাকে। এই নেশায় আসক্ত হয়ে যাওয়া আর নেশা থেকে মুক্ত হওয়ার বিষয়টুকু বুঝতে হলে সবার আগে আমাদের মস্তিষ্ক ও এর গঠন সম্পর্কে কিছু জানতে হবে।

Leave a Reply

scroll to top