গাজায় সহায়তা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায়, ইসরাইলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল সৌদি আরব

ezgif-2136b0df913493-67c525b0aaba5.jpg
মো: আল মামুন

সৌদি আরব গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করায় ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ব্ল্যাকমেইল বলে অভিহিত করেছে রিয়াদ।

রোববার সকাল থেকে মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় কোনো ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এমন পরিস্থিতি ইসরাইলের মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি একে ‘ব্ল্যাকমেইল ও সম্মিলিত শাস্তির কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

রিয়াদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যেই ইসরাইলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।’

সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইসরাইলকে এই গুরুতর লঙ্ঘন বন্ধে কঠোরভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে, ইসরাইলের এই নিষেধাজ্ঞার পর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের একটি প্রস্তাব ইসরাইল গ্রহণ করেছে, যাতে আসন্ন রমজান ও পাসওভার উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা আছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রমজান এবং ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের (পাসওভার নামে পরিচিত) সময় যুদ্ধবিরতি বজায় থাকতে পারে।

হামাস চুক্তির স্থায়ী পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। অন্যদিকে ইসরাইলের চাওয়া, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবে  কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে ও সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বর্তমান নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে, সংকট আরও তীব্র হবে।

এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শনিবার শেষ হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, হামাস এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া সাময়িক সম্প্রসারণ প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে হামাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় সহায়তা সরবরাহ বন্ধ করা ‘নোংরা ব্ল্যাকমেইল’ ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির ওপর ‘অভ্যুত্থান’।

যদি ইসরাইল মানবিক সহায়তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘায়িত করে, তবে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং শান্তি আলোচনার পথ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

ইসরাইলের এই পদক্ষেপের ফলে গাজার পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তার তীব্র সংকট চলছে।

Leave a Reply

scroll to top