গাজায় বর্বরতার প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ, ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ডাক

New-Project-27.jpg

গাজায় বর্বরতার প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ, ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ডাক

জাবি প্রতিনিধি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস ও নির্বিচার মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ ৭ এপ্রিল (সোমবার) শিক্ষক সমিতির উদ্ধোগে দুপুর ১২টায় এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত সমাবেশে জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কেএম রাকিব বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আমার ভাই মারা যাচ্ছে। জানতে ইচ্ছে করে—ইসলামী রাষ্ট্রগুলো কোথায়? ওআইসি কোথায়? মনে হয় আজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধেই মানববন্ধন করা উচিত।”

জবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “বায়তুল আকসা আমাদের প্রথম কিবলা। মুসলিম কমিউনিটিকে এই কিবলা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি আমরা প্রত্যেক মুসলিম দেশকে সব সেক্টরে অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার আহ্বান জানাই।”

জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া বলেন, “যারা বিশ্ব মানবতার কথা বলে, আজ তারা নীরব। গণহত্যার সহায়কদের পণ্য বর্জন করে আমাদের প্রতিবাদ জানাতে হবে।”

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধের মদদদাতাদের জন্য আল্লাহর হেদায়েত কামনা করি। আমাদের শপথ নিতে হবে—ইসরায়েল ও ইসলামের শত্রুদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবো। ইসরায়েলের কোনো পণ্য আমরা আর কিনবো না—এই সংকল্প নিতে হবে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, পিএইচডি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।

সমাবেশ শেষে গাজায় নিহত মুসলিমদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি ও ন্যায়ের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

scroll to top