বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘আসছে রমজান ও গরমে কোনো লোডশেডিং হবে না’।
অফিস-আদালতে স্যুট পরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে নামানো যাবে না। গরমে স্যুট পড়ে এসির তাপমাত্রা কম রাখার প্রবণতা থেকে বের হতে হবে।
কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে তাহলে আমরা আশা করছি এ মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রয়োজন হবে না। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে অবস্থিত ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ভবনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ রকম পরামর্শ দেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি, গ্যাস ও কয়লা ক্রয়ের জন্য ডলারের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কয়লা ও গ্যাস সঠিক সময়ে আনা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বাৎসরিক মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট বিশেষ কোনো খাতে থাকে, অন্য খাতে সরবরাহ কমিয়ে সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু সংকটটা সব খাতে থাকলে আর সামাল দেওয়ার সুযোগ থাকে না। বহু বছর ধরেই দেশে গ্যাসের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে এক খাতে সরবরাহ কমিয়ে অন্য খাতে বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল সরকার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে জানিয়ে ফাওজুল কবির আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যাপক চাপ থাকা স্বত্ত্বেও গত ছয় মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। গ্রাহকরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য সরকারকে দেয় ৮.৯০ টাকা। অথচ সরকার কেনে ১২ টাকায়।’
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যারা নতুন করে লাইনের গ্যাস চাইবে তাদের বাড়তি দাম দিতে হবে , ‘৭০ টাকায় গ্যাস কিনে সরকার কমদামে দিতে পারবে না।’