খুবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালককে বরখাস্ত

New-Project-39-1.jpg

খুবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালককে বরখাস্ত

খুবি প্রতিনিধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সোমবার (১০ই মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও প্রশাসন শাখার প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

অফিস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অর্থ ও হিসাব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত উপ রেজিস্টার মোঃ রহমত আলীর আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেটের ২৩০ তম সভায় উত্থাপন করা হলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরপর তাকে গত ১৭ ই ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

শেখ মুজিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দাখিল করলেও কর্তৃপক্ষের নিকট তা সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলাও আপিল) বিধিমালা২০১৮ এর বিধি- ১২ অনুযায়ী সাময়িক তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।একই সাথে অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বরখাস্তকালীন সময়ে তাকে প্রতি কার্যদিবসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বরখাস্ত হলেও বিধি অনুযায়ী সকল ধরনের ভাতা পাবেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতীতেও শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তবে রাজনৈতিক শক্তির বলয়ে অতীতে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি । এছাড়াও, সরকারি ব্রজলাল কলেজের মুক্তি হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।দীর্ঘ চার বছর কারা ভোগের পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন একই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সাবরেজিস্ট্রার মো. রহমত আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Leave a Reply

scroll to top