খুবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন

New-Project-2-12.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ খুবি প্রতিনিধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বরণ করে নেয় বাংলা নতুন বছরকে। সকালে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো …’ বর্ষ আবাহন সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সূচনা হয় দিনব্যাপী বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতার।

এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই আয়োজন আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সম্মিলিতভাবে যেভাবে এই উৎসব উদযাপন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েক বছর পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ঘিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিনটিকে ঘিরে খুলনার সকল পর্যায়ের মানুষ এখানে একত্রিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। শিক্ষার্থীদের নানা রকম কারুকার্যে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সকলের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এজন্য আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এ অনুষ্ঠানে আগত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নূর আলম, কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে চারুকলা স্কুল থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। মুখোশ, আলপনা, ঢাক-ঢোল, কাঠের তৈরি কারুকাজ ও নানা ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ছড়িয়ে দেয় নববর্ষের রঙিন বার্তা।

দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বসানো হয় পিঠা-পুলি, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও পণ্যের স্টল। শিশুদের জন্য ছিল নাগরদোলা, ম্যাজিক শো ও অন্যান্য আনন্দ আয়োজন। মেলায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে গোটা প্রাঙ্গণ।

এছাড়াও বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় গান, কবিতা, নৃত্য ও নাটকের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির নান্দনিক রূপ তুলে ধরা হয়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন উৎসবের আবহ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয় পুরো অনুষ্ঠানমালা।

Leave a Reply

scroll to top