বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে অনেকেই মারা যান। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও খালের পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাহার ছড়ার মজা খাল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মারা যাওয়া শিশু রিয়া মণি (৯) ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বাহারছড়া এলাকার ইউসুফ নবীর মেয়ে, মরিয়ম বেগম (৯) মঞ্জুর আলমের মেয়ে এবং জাফর আলমের মেয়ে তসলিমা আক্তার (৯)। তারা সবাই প্রতিবেশী।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি মশিউর রহমান বলেন, গতকাল দুপুরে প্রতিবেশী তিন শিশুসহ আরও কয়েকজন মিলে বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন শিশু বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখেন স্বজনরা। পরে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে অপর দুই শিশুকেও ভাসতে দেখেন তারা।
অভিশংসনের পর ফের প্রেসিডেন্ট পদে হান ডাক-সুঅভিশংসনের পর ফের প্রেসিডেন্ট পদে হান ডাক-সু
ওসি বলেন, তিন শিশুই প্রতিবেশী। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও পুলিশ আরও অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান, মশিউর রহমান।
গ্রামের শিশুরাই নয়, শহরের শিশুরাও বেড়াতে গিয়ে এমন করুণ মৃত্যুর শিকার হয়। এমনকি খুব অল্প পানিতেও শিশু মারা যেতে পারে। বেশিরভাগ শিশুই পানিতে ডুবে মারা যায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে এবং মায়ের ১০০ গজ দূরত্বে। বিশেষ করে মা যখন কাজে ব্যস্ত থাকেন।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও ইনজুরি সার্ভে অনুযায়ী, এদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৭ হাজার শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। যাদের বয়স ১ থেকে ৪ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৬ জন শিশু মারা যায়। পানিতে ডুবে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটে পুকুর ও খালে। বিশেষত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে। এমনকি ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে।