কোস্ট গার্ড উপকূলে আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

New-Project-2025-02-17T124919.763.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এলাকার জনগণের নিকট আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যগণ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। যাবতীয় অবৈধ কার্যক্রম, মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ, অস্ত্র ও মানব পাচার, অবৈধ চোরাচালান, জলদস্যুতা, অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম প্রতিহত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা নিয়মিত টহল দ্বারা সমুদ্র ও নদীপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় পতিত বিপদগ্রস্ত নৌযান ও নাবিকদের উদ্ধার কার্যক্রমও পরিচালনা করে যাচ্ছে।

তিনি বরেন, উপকূলীয় এলাকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় জনগণ, মৎস্যজীবী এবং নৌযান মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কাজে এ বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কোস্ট গার্ডের সদস্যগণ বিপন্ন মানুষের জীবন রক্ষা এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষ অবদান রাখছে। সবমিলিয়ে কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এলাকার জনগণ তথা দেশের গণমানুষের নিকট আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যা বাংলাদেশ  মানুষের অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মোঃ জিয়াউল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কোস্ট গার্ডের সার্বিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের আধুনিকায়নে সম্প্রতি আর্মারড বা বুলেট প্রুফ সুবিধা সম্বলিত হাই স্পিড বোট, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনসহ সার্ভেল্যান্স ড্রোন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তাছাড়া কোস্ট গার্ডের জন্য আগামীতে হেলিকপ্টারসহ রেসকিউ ড্রোন ক্রয়েরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে ১৭৯টি আধুনিক ও দ্রুতগামী জলযান যা বাহিনীটির আভিযানিক সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। নির্মিত হয়েছে বাসস্থান, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন। গভীর সমুদ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের জাহাজসমূহে স্থাপিত হয়েছে VSATNET (ভিস্যাটনেট) System।

 

 

Leave a Reply

scroll to top