‘মিসিং ইউ’ মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে মুক্তির কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও সিরিজটি এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বেশি দেখা সিরিজের তালিকায়।
‘হারলান কোবেনস শেল্টার’, ‘দ্য স্ট্রেঞ্জার’, ‘ফুল মি ওয়ান্স’-এর জনপ্রিয় এ সিরিজগুলো যাঁরা দেখেছেন, হারলান কোবেনের গল্প নিয়ে তাঁদের নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁর ১২টি উপন্যাস নিয়ে ইতিমধ্যেই সিনেমা বা সিরিজ বানানো হয়েছে। অতীতের অমীমাংসিত ঘটনা, রহস্যময় চরিত্র আর একের পর এক টুইস্ট; হারলার কোবেন বিখ্যাত তাঁর রোমাঞ্চকর ধারার গল্পের জন্যই। তাই রহস্য ও থ্রিলারের ভক্তদের কাছে তিনি জনপ্রিয়।
নতুন বছরের প্রথম দিন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে লিমিটেড সিরিজ ‘মিসিং ইউ’। হারলান কোবানের উপন্যাস অবলম্বনে সিরিজটি বানিয়েছেন নির্মাতা ভিক্টোরিয়া আসারি-আর্চার।‘মিসিং ইউ’ সিরিজে ক্যাটের ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে কর্মজীবন গল্প এগিয়ে গেছে একসঙ্গে। এখানে ক্যাট একের পর এক রহস্যের জট খোলার মাধ্যমে অতীতের নানান ঘটনা জোড়া লাগাতে থাকেন। নিজের বাবা আর প্রাক্তন প্রেমিক; সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েনের ঘটনা দেখানো হয়েছে এখানে।রোমাঞ্চকর গল্প আর ব্যক্তিগত অনুভূতির মিশ্রণ ‘মিসিং ইউ’ সিরিজটি।
গল্পের শুরু প্রথমদিকে একটু ধীরগতির হলেও দ্রুতই গল্প জমে ওঠে। এখানে সহায়ক চরিত্রে প্রত্যেকেই ভালো অভিনয় করেছেন। তবে কুকুরের ফার্মের মালিক আর দুর্বৃত্ত টাইটাসের (স্টিভ পেমবারটন) কথা বলতে হয় আলাদাভাবে।মিসিং ইউ’ গল্পের পটভূমি এক দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। তবে রহস্য, ভয় ধরানো ঘটনা, বিশ্বাসঘাতকতা; একের পর এক ঘটনার বাঁকবদলে গল্পের রোমাঞ্চে ভাটা পরে না। তাই গল্পের ভেতরে একবার ঢুকে গেলে শেষ না করে বের হওয়া যায় না।
যদিও সিরিজটি সমালোচকেরা বলছেন, ‘মিসিং ইউ’ মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো কোনো গল্প নয়। তবুও সিরিজটি শেষ করার পর একটি জটিল ধাঁধা সমাধান করার মতো তৃপ্তি মেলে। তাই বলা যায়, রোমাঞ্চকর সিরিজ হিসেবে এটি তার মর্যাদা ধরে রাখতে পেরেছে। আর নেটফ্লিক্সের টপ ওয়াচিং লিস্টে থাকাই সে প্রমাণ দিয়ে যায়।