কলম থেকে তৈরী  হবে পরিবেশবান্ধব  গাছের চারা

New-Project-2025-02-22T173051.889.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

কলমের কালি ফুরিয়ে গেলে সেটি আমরা ফেলে দেই।  কিন্তু এমন কলম যদি বানানো যায়, যা থেকে গাছের জন্ম হবে, কেমন হবে সেটা? কাগজ দিয়ে পরিবেশবান্ধব কলম তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার এক শিক্ষার্থী। তাঁর নাম মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে এবং আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে শিক্ষার্থী  এই উদ্যোগ নিয়েছেন। কলমগুলো প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে পরিবেশ রক্ষায়ও।

আমিরুল জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ কলম তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। দুই মাস চেষ্টার পর গত নভেম্বর মাসে সফল হন। বিভিন্ন রঙের কাগজের মধ্যে কালির শিষ পেঁচিয়ে আঠা লাগিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই কাগজের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বীজ ভরে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় এ কলম।

আমিরুল বলেন, ‘প্লাস্টিকের তৈরি কলম শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করছে। এ কলম ব্যবহার করলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হবে না। উল্টো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পথ সুগম হচ্ছে। আমার লক্ষ্য হলো, পাঁচ টাকা ব্যয়ে হাজার টাকা আয়ের পথ সৃষ্টি। মানুষ গাছ রোপণে আগ্রহী নয়। আমার এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে অনায়াসেই গাছ মাটিতে জন্ম হবে। কারণ যেখানে এ কলম ফেলা হবে, সেখানেই ফলদ গাছের চারার জন্ম হবে। সরকারি আর্থিক সহায়তা পেলে পরিবেশবান্ধব এ কলম দেশের সর্বত্র বাজারজাত করা যাবে।’

আমিরুলের বাবা মনিরুল বলেন, সে লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে। তাই  পরিবেশবান্ধব কাগজের কলম তৈরি।

আমতলী এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ হান্নান বলেন, আমিরুলের উদ্যোগটি শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির এক চমৎকার উপায়। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী এই কলম ব্যবহার শুরু করেছে। আমতলীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে এই কলম ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে একটা বড় সবুজ বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমিরুলের এমন উদ্যোগকে প্রসারিত করতে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

Leave a Reply

scroll to top