কটকা ট্রাজেডির ২২ বছর : স্মৃতিতে ওরা ১১জন

New-Project-19-3.jpg
খুবি প্রতিনিধি

২০০৪ সালের ১৩ মার্চ সুন্দরবনের কটকায় ডুবে মারা যান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১জন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)২জন।সেই থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কটকা ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে ও পরিচিত।

২০১৩ সালের ১৩ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের একদল শিক্ষার্থী সফরের অংশ হিসেবে সুন্দরবনের কটকায় যায়। উদ্দেশ্য ছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।কিন্তু প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম; আনন্দঘন মুহুর্ত রূপ নেয় ট্রাজেডিতে।অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগের এক পর্যায়ে সমুদ্রের—উত্তাল ঢেউ কেড়ে নেয় ১১টি তেজদীপ্ত প্রাণ।মুহুর্তের মধ্যে নিভে যায় ১১টি প্রাণ।

প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীরা হলেন— খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরনাজ রিফাত রূপা, মো. মাহমুদুর রহমান, মাকসুমুল আজিজ মোস্তাজী, আব্দুল্লাহ হেল বাকী, কাজী মুয়ীদ বিন ওয়ালী, মো. কাওসার আহমেদ খান, মুনাদিল রায়হান বিন মাহবুব, মো. আশরাফুজ্জামান এবং মো. তৌহিদুল এনাম। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামিউল ও শাকিল।

সেই থেকে প্রতি বছর ১৩ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ বছর ও যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে পালিত হয় দিবসটি। শোক দিবস উপলক্ষে সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র‍্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া শোকসভা, স্মৃতিচারণ,দোয়া মাহফিল এবং এতিম শিশুদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আশা করেন,ভবিষ্যতে শিক্ষা সফর ও বিভিন্ন ভ্রমণের সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যেন আর কোন শিক্ষার্থীর এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার না হতে হয়।

Leave a Reply

scroll to top