ইকরামুল হাসান, যিনি শাকিল নামেই বেশি পরিচিত। ইউএনডিপি ও কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের যৌথপ্রকল্প ‘টিসিসিএফ প্লাস্টিক সার্কুলারিটি’র আওতায় এই প্রচারণায় অংশ নিলেন তিনি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে পায়ে হেঁটে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের পরিকল্পনা করছেন ইকরামুল।
এভারেস্টচূড়ায় আরোহণের এ অভিযানে পথে যেতে যেতে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও ছড়িয়ে দেবেন। এর মধ্যে থাকবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা। ৯০ দিনের এই অভিযানে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপালের এভারেস্ট বেজক্যাম্প পৌঁছাতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দেবেন। রোমাঞ্চকর অভিযানটি সম্পন্ন হলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের হাতছানিও আছে তাঁর সামনে।
ইকরামুল বলেন, ‘এই অভিযান শুধুই পর্বতারোহণ নয়, এটি তারুণ্যের সাহস, অধ্যবসায় ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতীক। যদি সফল হই, তবে ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের নাম উঠে আসবে সুনামের সঙ্গে।’
পর্বতারোহণের প্রাথমিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ে ইকরামুল। হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ ও ‘হিমলুং’, ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গ আরোহণ করেছেন সফলভাবে। ২০২৩ সালে ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার মধ্য দিয়ে নেপালের পূর্বুঘ থেকে পশ্চিমে চলে যাওয়া ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্গম পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ইকরামুল।