ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে পারবে বাংলাদেশ। এমন মনোভাব নিয়েই আগানোর কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের। চেষ্টাও হয়তো ছিল সেটাই। তবে সেই চেষ্টা সফল হলো কই। সিরিজের সাথে সাথে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও হারালো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
শুক্রবার রাতে ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৩৫ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ান মেয়েরা।
আপাত দৃষ্টিতে এটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হলেও বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে এটি ছিল বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করার চাবি। কারণ এ সফরেই ছিল নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে নিজেদের শেষ তিন। যে ম্যাচগুলোর উপর নির্ভর করছিল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার ভাগ্য। যেখানে টিকিট নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল ২-১ ব্যবধানের সিরিজ জয়। প্রথম ম্যাচ হেরে সে লক্ষ্য থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আশা জাগিয়েছিলেন জ্যোতিরা। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিতে লড়াইটুকুও করতে পারেননি।
নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ২৪ ম্যাচে ৮ জয়ের বিপরীতে ১১ হার বাংলাদেশের। ২১ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে জায়গা পেয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহও সমান ২১ পয়েন্ট, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ছয়ে আছে কিউই মেয়েরা। স্বাগতিক ভারতসহ টেবিলের শীর্ষ পাঁচ দল সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। ভারত টেবিলের দুইয়ে থাকায় ছয় নম্বর দলেরও সরাসরি সুযোগ হচ্ছে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে পাঁচে চলে যেত বাংলাদেশ। আর সেটা করতে পারলে বাছাই পর্ব ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে পারত টাইগ্রেসরা। কিন্তু সুবর্ণ এক সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
ফলে বিশ্বকাপ খেলতে এখন ৬ দলের একটি বাছাইপর্ব খেলতে হবে তাদের। যেখান থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে দুটি দল। এই বাছাইপর্বে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে লাল সবুজদের।