ঈদ পালন করেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক।
বুধবার (১৯ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
কবে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরের সপ্তাহে না হলেও তার পরের সপ্তাহে বা ১৫ এপ্রিল বা তার দুই-একদিন আগে পরে দেশে যাবেন। ওনার ডাক্তাররাও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। সেই ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-একদিন এদিক-সেদিক হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। চিকিৎসকরাও তার চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লিডারের (তারেক রহমান) দেশে যাওয়ার সময়ের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। দুই জন একসঙ্গে অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।’
লন্ডন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দী লিটন, জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখা সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
এরপর ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ওইদিন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৭ দিন অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় ওঠেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।