আমরা জানি টাকা খুবই শক্তিশালী একটি বিনিময়ের মাধ্যম এবং আমাদের জীবনে টাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি।
টাকা একটা সময় গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। এমন এক উদাহরণ তৈরি করেছেন রাহাত খলিল এন্ড এসোসিয়েটসের পিয়ন মোবারক হোসেন। তার মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা হলেও গেল ৪ বছরে ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। এই অর্থের উৎস নিয়ে সন্দেহ বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউর।
মোবারক হোসেন জানান, এই অর্থ তার নয়। তার একাউন্টে এক নিয়োগকর্তা এসব টাকা জমা করেছেন।
এদিকে নিয়োগকর্তা আইনজীবীর দাবি এই বিপুল পরিমান অর্থ তার নয়। তার ক্লাইন্টের।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার একটি সন্দেহজনক ব্যাংক হিসাবে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানে এ বিষয়ে নানা তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে হিসাবটি খোলেন মোবারক হোসেন নামে এজন। একই দিন এই হিসাবে জমা হয় নগদ ৫০ লাখ টাকা। পরের বছরের ১২ জানুয়ারি ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, একই মাসের ২৪ তারিখে ৪৮ লাখ আর নভেম্বরে ৫ কোটি নগদ জমা হয়। এইভাবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবটিতে জমা পড়েছে ২৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে উত্তোলন করা হয় ২০ কোটি ৬২ লাখ।
টাকা আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যার অন্যতম কারণ টাকা আমাদের মানসিক প্রশান্তি।
এসব তথ্য অনুসন্ধান কালে জানা যায়, কাওরান বাজারে একটা অফিসে একজন আইনজীবীর পিয়নের কাজ করেন এই মোবারক হোসেন। ৩০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ব্যাংক একাউন্টে কীভাবে জমা হয় ২৪ কোটি টাকা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই টাকার মালিক তিনি নন, বিভিন্ন সময়ে তার এই টাকা তার একাউন্টে জমা দেন নিয়োগকর্তা।
কর্মচারীর হিসাবে এতো টাকা জমা রাখার বিষয়টি স্বীকারও করেন নিয়োগকর্তা। তবে দাবি করেন এসব টাকা তার না। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক রক্ষায় এমন উদ্যোগ বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক বিন আব্দুল্লাহর দাবি কিছুটা সহায়তা পেয়েছিলেন সেই সময়ে। তবে তা আড়াই কোটির বেশি নয়।