এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে, কী করবেন জেনে নিন

New-Project-59-1.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

এইচএমপিভি সম্ভবত বহু শতক ধরে রয়েছে এবং প্রায় সব মানুষই তাদের জীবনে অন্তত একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে একদল গবেষক এইচএমপিভিকে চিহ্নিত করেন। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। সম্প্রতি চীনের ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, তারা নিউমোনিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে একটি
নতুন প্রোটোকলের পরীক্ষা করছে। এরপরই এইচএমপিভি নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন হন। আসুন জেনেনি আক্রান্ত হলে কি কি করেতে হবে।

এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের বিস্তার রোধে ৬টি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

১. হাত পরিষ্কার রাখা: কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানির সাহায্যে হাত ধুয়ে নিন। সাবান ও পানি না থাকলে অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসযন্ত্রের সহায়ক আচরণবিধি মেনে চলুন: কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে ফেলুন। ব্যবহৃত টিস্যু সঙ্গে সঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দিন এবং হাত ধুয়ে নিন।

৩. ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: যেসব ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার উপসর্গ রয়েছে তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে তৈজসপত্র, তোয়ালে/গামছা বা বিছানার চাদর ভাগাভাগি করবেন না।

৪. অসুস্থ থাকলে বাড়িতে থাকুন: যদি কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে বাড়িতে বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা: নিয়মিত ব্যবহৃত বস্তু এবং পৃষ্ঠতল যেমন দরজার হাতল, সুইচ এবং মোবাইল ডিভাইসগুলো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

৬. মাস্ক ব্যবহার করুন: ভিড় বা অপর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের এলাকায় মাস্ক পরা শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমাতে সহায়ক হয়।

এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং জনস্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চললে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যাবে।

Leave a Reply

scroll to top