ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল রোধে যৌথ অভিযান 

New-Project-5-5.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদযাত্রার সময় দুর্ঘটনা, যানজট এবং মানুষের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

আসন্ন ঈদে সড়কে শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে লক্কর-ঝক্কর, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল রোধে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।

শনিবার (২২মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে বিআআরটিএ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে অভিযান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে।

এসময় গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকার গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠান মাওয়াহীদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নেন মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.রাহাত গাওহারীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আনিসুজ্জামান বলেন, আগামী যে ঈদুল ফিতর আছে সেই উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে এবং ঈদ শেষে ঢাকায় আবার ফিরে আসবে। এই ঈদকে কেন্দ্র করে ফিটনেসবিহীন ও লক্কর ঝক্কর গাড়ি যাতে রাস্তায় না নামতে পারে সেজন্য গাড়ির যে গ্যারেজ বা ওয়ার্কশপগুলো আছে আমরা তাদেরকে সচেতনতামূলক একটি মোবাইল কোর্ট করছি। এই সব গ্যারেজ থেকে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী গাড়ি যাতে তারা না নামায়।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচল করলে একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে দীর্ঘ একটা যানজট সৃষ্টি হয় এবং মানুষের জীবন ও হুমকির মুখে পড়ে। এগুলো যাতে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি এই কারণেই ওয়ার্কশপগুলোতে মোবাইল কোট করছি এবং তাদেরকে সতর্ক করছি।

সড়কে যে সব ফিটনেসবিহীন গাড়ি রয়েছে ধরার বিষয়ে পদক্ষেপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে জেল জরিমানা উভয় শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা আছে।

এদিকে, দেশের প্রচলিত আইনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিআরটিএর তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশে আনফিট গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ ১১ হাজার ১৪১। এর মধ্যে কিছু এখন আর রাস্তায় চলাচল করে না।

বিআরটিএর হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০ হাজার ৮৬৮টি বাস, ১১ হাজার ১৮৫টি মিনিবাস, ৫৭ হাজার ৪১টি ট্রাক, ৭৩ হাজার সাতটি প্রাইভেটকার, ৩০ হাজার ৫৩৮টি মাইক্রোবাস, ৭২ হাজার ১৫৯টি পিকআপ ভ্যান, ৩৯ হাজার ৫৯১টি ট্রাক্টর, ১৪ হাজার ৩৮০টি হিউম্যান হলার, হাজার ৮১১টি অ্যাম্বুলেন্স, লাখ হাজার ৬৪৭টি অটোরিকশার ফিটনেস বা হালনাগাদ ফিটনেস সনদ নেই।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিগত ঈদুল ফিতরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত ঈদে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত এবং ১৩৯৮ জন আহত হয়েছিল। এছাড়া ১৮টি রেল দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছিল। ২টি নৌপথ দুর্ঘটনায় জন নিহত এবং জন আহত হয়েছিল। এবারের ঈদে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

Leave a Reply

scroll to top