ইসরায়েলি হামলায়  নামাজরত অবস্থায় স্ত্রীসহ  হামাস নেতার মৃত্যু

New-Project-2025-03-23T141518.093.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজার ওপর নতুন করে শুরু করা বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নামাজরত অবস্থায় স্বস্ত্রীক নিহত হয়েছেন উপত্যকাটির শাসক দল হামাসের রাজনৈতিক এক সংগঠক।

রোববার (২৩ মার্চ) হামাসের জারি করা এক বিবৃতির বরাতে সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন ক্রনিকল ও ভারতীয় নিউজএক্স জানায়, গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় সালাহ আল বারদায়েল নিহত হয়েছেন। নিজ তাঁবুতে স্ত্রীর সঙ্গে নামাজরত অবস্থায় রাজনৈতিক শাখার এ গুরুত্বপূর্ণ নেতার ওপর মিসাইল হামলা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাসপন্থী মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিমান হামলায় বারদাউইল নিহত হয়েছেন। তিনি হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের একজন সদস্য ছিলেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। হামাস নেতৃত্বের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো বারদাউইলের নিহত হওয়ার ঘটনায় ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছেন।

হামাস এক বিবৃতিতে বারদাউইলকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, বারদাউইল তার স্ত্রীসহ নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় খান ইউনুসে তাদের তাঁবুতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, তাদের এই যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা। গত ১৫ মাস ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধে সাময়িক বিরতি হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি থেকে। এরপর কয়েক দফায় জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয় ইসরায়েল। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর তা বাড়ানোর জন্য দুই পক্ষের মধ্যে বারবার আলোচনা চলে। 

তবে গত মঙ্গলবার থেকে ফের গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবারের অতর্কিত হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেইসঙ্গে বাড়িয়েছে স্থল অভিযান।

হামাসের জারি করা বিবৃতির পরপরই সংগঠনটির মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নূর তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে বারদায়েলের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন।

হামাসের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শহিদ বারদায়েল ও তার স্ত্রীর রক্ত মুক্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে লড়তে থাকা সৈনিকদের শক্তি জোগাবে। সন্ত্রাসী ইসরায়েলি শত্রুরা এর মাধ্যমে যোদ্ধাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে   হামলার পাশাপাশি গাজাবাসীর ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশও নতুন করে জারি করেছে ইসরায়েল। ফলে গাজাজুড়ে হাজার হাজার মানুষ নতুন করে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত ও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top