ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য যে পরিমাণ বাংলাদেশি আবেদন করেছেন, সে হিসেবে আশ্রয় চাওয়া দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছয় নম্বরে। বাংলাদেশিদের করা ৯৬ শতাংশেরও বেশি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
গত বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ইতালিতে। ইইউ প্লাস অঞ্চলে করা বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের প্রায় ৭৭ শতাংশই জমা পড়েছে ইতালিতে।
২০২৪ সালে ইতালিতে আশ্রয় আবেদন করেছেন ৩৩ হাজার ৪৫৫ বাংলাদেশি। যেখানে ২০২৩ সালে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের এ সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৪৮। ইতালির পর বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডে। গত বছর ইউ প্লাস দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের মোট আবেদনের প্রায় ১৫ শতাংশই করা হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটিতে মোট ৬ হাজার ৪২৯ জন বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ৬ জন বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদন করেছিলেন।
ইইউএএ’র পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের করা আশ্রয় আবেদনের প্রায় ৪৭ হাজার ৭৭৮টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। ওই বছর প্রায় ১ হাজার ৯৮৯ জন বাংলাদেশি তাদের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন স্বীকৃতির হার ছিল প্রায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত বছর ইতালিতে সর্বাধিক ৩৩ হাজার ৪৫৫ বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদন চেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৪৮ জন। গত বছর ইতালিতে আশ্রয়প্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল মোট আবেদনকারীর ২১ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে আবেদনের সংখ্যা অবশ্য কমেছে। ২০২৩ সালে ছিলেন ১০ হাজার ২১৫ জন কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে ছয় হাজার ৪২৯ জন। এ ছাড়া গ্রিসে ২০২৩ সালে আবেদন করেছিল ৬৪০ বাংলাদেশি। গত বছর আবেদন করেছিল এক হাজার ৪ জন।
ইইউএএ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশি আশ্রয়প্রত্যাশীদের প্রায় চার শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যা মোট আবেদনকারীদের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে, সিরিয়া থেকে আশ্রয়প্রত্যাশীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর আফগানিস্তানের আবেদনকারীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপে আশ্রয় আবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে আফগানিস্তান। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর আশ্রয় আবেদনে তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তান।