ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

New-Project-2025-03-04T133903.336.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর আপ্যায়ন ছাড়াই বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “ইউক্রেনের নেতাদের শান্তি চুক্তির প্রতি সদিচ্ছা রয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাম্প এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সকল সামরিক সহায়তা স্থগিত থাকবে।”

যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা পেন্টাগন এখন পর্যন্ত আর কোনো মন্তব্য করেননি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া পূর্ণাঙ্গ হামলার শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার সবচেয়ে বড় উৎস হলো যুক্তরাষ্ট্র। এ সহায়তার মধ্যে অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং আর্থিক সহায়তা রয়েছে।

বর্তমানে ইউক্রেনে নেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন সব সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টিও স্থগিতের আওতায় পড়বে।

এ তালিকার মধ্যে পোল্যান্ডের ডিপোগুলোতে মজুদ থাকা এবং পরিবহনরত অস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত আছে।

এর আগে হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি  ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধের বিষয়ে কথা বলেননি।

এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “জেলেনস্কির আরও কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।”

প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘সম্মতি’ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাথে যে কোনও শান্তি চুক্তি হওয়া উচিত।

কিন্তু কেউ হয়তো চুক্তি করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি তারা তা না করে তবে খুব বেশি দিন তারা থাকবে না।”

মি. ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের জনগণ উভয়েই একটি চুক্তি করতে চায় বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে— তিনি শান্তির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তাকে থামিয়ে দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এটি (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখে।”

এদিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কোনও মন্তব্য করেনি।

Leave a Reply

scroll to top