আলোচনায় বসব না, যা খুশি করুন : ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

New-Project-2025-03-12T134825.495.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, হুমকির মুখে তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার যা খুশি তাই করুন।’

বুধবার (১২ মার্চ) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, হুমকির মুখে ইরান কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবে, তেহরান জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পেজেশকিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমরা এটা মেনে নিতে পারি না যে, যুক্তরাষ্ট্র শুধু আমাদের আদেশ দেবে ও হুমকি দেবে। এমনকি আমি আপনার সঙ্গে আলোচনাও করব না। আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন।’

এ বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য কোনো সমাধান নয়। তারা আলোচনার নামে এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা।

একদিকে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও, তিনি তার প্রথম মেয়াদে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনরায় চালু করেছেন। এর আওতায় তিনি ইরানকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং তাদের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে দুটি উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে- সামরিকভাবে, অথবা তারা একটি চুক্তি করবে যাতে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকে।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির  কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে তারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিশুদ্ধতার মান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি উল্লেখ করে সতর্ক করেছে আইএইএ।

২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তার এক বছর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি তখন ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই নতুন বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। পেজেশকিয়ানের মন্তব্য এবং ট্রাম্পের কঠোর নীতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই কোনো সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Leave a Reply

scroll to top