দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক ধরে বন্ধ থাকা বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে আসতে বাধা নেই বলে জানালেন আইনজীবী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে চ্যানেল ওয়ানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট কাজী আখতার হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ও ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম (আকাশ)।
এরপর ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের ফলে ১৬ বছর পর চ্যানেল ওয়ান খুলতে সব আইনি বাধা কাটলো। ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর তৎকালীন সরকার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়।অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক এবং প্রতিহিংসাবশত শেখ হাসিনা বিটিআরসিকে বাধ্য করে জনপ্রিয় এই গণমাধ্যমটির সম্প্রচারে হস্তক্ষেপ করানের । পরে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরাসরি তৎকালীন সরকারের অন্যায় নির্দেশে মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অনুমতি না নিয়ে চ্যানেল ওয়ান কর্তৃপক্ষ আমদানি করা সম্প্রচার যন্ত্রপাতি বিক্রি করেছে। আর সেজন্যই চ্যানেলটি বন্ধ করা হয়েছে। চ্যানেল ওয়ানের লিগ্যাল অফিসার মিজান-উল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আবারও মামলা নিয়ে আদালতে গেলে চেম্বার জজ আপিল করার অনুমতি দেন।
আদালতের এমন আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চ্যানেল ওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বলেন, অন্যায়ভাবে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালত ন্যায় বিচার করেছেন।
চ্যানেল ওয়ান ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন মামুনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।