আমাদের ভিতটা পুরাতন বলে টিকে গেছি: ঋতুপর্ণা

New-Project-2025-02-27T180304.155.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর নতুন ছবি নিয়ে আসছেন কিছু দিনের মধ্যেই। তার আগে ছবি, জীবন, নানা বিষয়ে কথা বললেন তিনি।

ঋতুপর্ণা: এই ছবির গল্পটা পুরাতন আর নতুনের মেলবন্ধন। আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ওঁর মতো একজন গুণী  শিল্পী, যিনি পুরোনো সময়টা দারুণ ভাবে যাপন করেছেন, আজ অবধি উনি রেলিভেন্ট থেকেছেন, তাঁকে নিয়ে ছবি করলে স্ক্রিপ্টটা তো একটু বিশেষ হতেই হবে। উনি আমাকে বলেছিলেন চিত্রনাট্য পছন্দ হলে তবেই ছবিটা করবেন। আমরাও চেষ্টা করেছি ওঁকে দারুণ একটা চরিত্র দিতে, যাতে এত বছর পর ওঁর অভিনয় করাটার জাস্টিফিকেশন থাকে।

এক বছর আগে ঋতুপর্ণা মা–কে হারিয়েছেন। এই গল্পটা কি সেই জন্যে বিশেষ প্রশ্ন করলে ঋতুপর্ণা বলেন, অবশ্যই। মাকে হারানোর পর সিনেমাটা যেন আরও বেশি করে বুকের মধ্যে বাজছে। মাকে ফিল্মটা দেখাতে পারলাম না বলে খুব কষ্ট হচ্ছে।  তিনি বলেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো, মায়ের কাছাকাছি থাকা, এটার যে একটা আলাদা মর্ম আছে, সেটা বুঝতাম।

কিন্তু তবু আমাদের ব্যস্ততার জন্য কখনো-কখনো সেই সময়টা হারিয়ে ফেলি আমরা। কিছু সময় মা অসুস্থ ছিলেন। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। কিন্তু হারিয়ে ফেলা সময়টার যে দুঃখ, সেটা তো চিরদিনই বইব।

অভিনেত্রী বলেন, শর্মিলাজির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। বন্ধন, স্বতঃস্ফূর্ততা, ডিগনিটি, এলিগেন্স —বলে বোঝানো যাবে না। উনি একজন সফল মানুষ। কাজের দিক থেকে সফল, স্ত্রী হিসাবে, মা হিসাবে এবং দিদা–ঠাকুমা হিসাবে সফল।

ওটিটি–নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন,এটা আমার বহুদিনের আশা। আমি অপেক্ষা করে আছি, দারুণ একটা চরিত্রর জন্য, যা অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে ভাবিয়ে তুলবে। যে চরিত্রটা আমাকে দিয়ে দারুণ এক্সাইটিং কিছু করিয়ে নেবে।

সামাজিক মাধ্যম ছাড়া সুপারস্টার হওয়ার কাজটা কতটা কঠিন বলে মনে করেন আপনি? এ প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা করতে চাই না। তবে আমি যে সময়ে কাজ শুরু করেছিলাম, পরিচালককে অবলম্বন করেই এগিয়েছি। তখন এত মিডিয়া ছিল না। ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না। যখন যে রকম পরিস্থিতি, সেখানেই মেকআপ, ড্রেস চেঞ্জ করে নিতাম। আমাদের ভিতটা পুরাতন। তাই এত বছর টিকে গেছি।

Leave a Reply

scroll to top