আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা করি না: মির্জা ফখরুল

New-Project-9.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা করি না। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রকে চর্চা করি না। এখানে পর পর গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। কিন্তু সহনশীলতার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে চর্চা করে যদি এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা গণতন্ত্রকে লাভ করতে পারবো, অধিকারকে অর্জন করতে পারবো।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আবার একটি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। সেই স্বপ্নটি হচ্ছে, সত্যিকার অর্থেই আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন- একটি সুখী, সুন্দর, সমৃদ্ধ, প্রেমময় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ; সেই বাংলাদেশকে নির্মাণ করার আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা ৭১ সালে যুদ্ধে ছিলাম, এরপর গণতান্ত্রিক যুদ্ধেও ছিলাম। আজকে সেই গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ঐক্যের যে যুদ্ধ, সকলে মিলে একসঙ্গে দেশটাকে যে গঠন করব, নির্মাণ করব, একটা পথরেখা দেখাবো; আজকে এই বয়সে এসে আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গায় আমাদের ব্যর্থতা আছে।’
তিনি বলেন, সহনশীলতার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করে এগিয়ে যেতে হবে। তা হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি বরং দিনের পর দিন এখানে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেয়া হয়নি।
আক্ষেপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কি করুণ সময় গেছে, আমরা ভোট দিতে পারিনি। ১৫ বছরে প্রজন্মে পর প্রজন্ম জানে না ভোট কি। তারা ভোট দিতে পারেনি। পরপর ৩টি টার্ম ফ্যাসিবাদ ক্ষমতা দখল করে দেশের মধ্যে ভীতি তৈরি করে মানুষকে নির্যাতন নিপীড়ন চালায়। লুট করে দেশের সম্পদ। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্টরা ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

Leave a Reply

scroll to top