আমদানি করা অর্ধেক কসমেটিকস পণ্যই ভেজাল ও মানহীন

New-Project-2025-03-19T160033.757.jpg
মো: আল মামুন

বাংলাদেশে আমদানি করা কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের অর্ধেকই ভেজাল ও নকল, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভেজাল ও মানহীন কসমেটিকস ব্যবহার করে ক্যান্সারসহ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভেজালকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।

সম্প্রতি বিএসটিআই পরিচালিত বেশ কয়েকটি অভিযানে উঠে এসেছে, নকল ও ভেজাল কসমেটিকসের ভয়াবহ চিত্র। বিএসটিআই বাজার থেকে ৩৪টি পণ্য পরীক্ষা করে দেখতে পায় আমদানিকৃত এসব পণ্যের ১৭টিই ভেজাল ও মানহীন, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। এতে ভোক্তাদের মাঝে উদ্বেগ আরো বেড়েছে।

রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী প্লাজায় বিএসটিআইর একটি অভিযানে দেখা যায়, আমদানিকৃত কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের বেশিরভাগই ভেজাল ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি এরইমধ্যে নিষিদ্ধ করা বিদেশি স্কিন ক্রিমও সেখানে বিক্রি, বিতরণ ও বাজারজাতরত অবস্থায় পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবেকুন নাহারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানটিতে এই ভয়ংকর তথ্য উন্মোচিত হয়।

রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর ও মেগাস্টার শাকিব খান বলেন, “আমি গর্বের সাথে বলতে পারি, কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার খাতে এখন আর বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল নয়। শুরু থেকেই কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করে পণ্য উৎপাদন করে আসা রিমার্ক-হারল্যান দেশের বাজারে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করছে। শুধু তাই নয়, সম্মানজনক হালাল সার্টিফিকেট অর্জন করে এখন শত বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক হালাল মার্কেটেও প্রবেশ করতে যাচ্ছে রিমার্ক-হারল্যান। তাই আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, অল্প কিছু লাভের আশায় নকল ভেজাল কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্য বিক্রি না করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি অথেনটিক পণ্যের বিপণনে যুক্ত হওয়ার এখনই সময়।”

এ সময় বাংলাদেশে জাতীয় মান নির্ধারণের জন্য সরকার স্বীকৃত একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিএসটিআইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেগাস্টার শাকিব খান বলেন, “দেশের মানুষের ভালো থাকার জন্য রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের অন্যতম সম্পদ। আমি বিএসটিআইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারি জামাল উদ্দীন বলেন, “বিএসটিআইর অভিযানে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা উদ্বেগজনক। যারা ভেজাল ও নকল কসমেটিকস আমদানি করছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাজারে কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ্যের রপ্তানিকারক দেশ হতে চলেছে। যেখানে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেখানে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য আমদানি মোটেও কাম্য নয়। বরং এখনই সময় ভেজাল পণ্য আমদানির বিপক্ষে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলার।”

Leave a Reply

scroll to top